【孟加拉笔译】外卖员

আমি আমার বাবাকে দুহাজার এগারো সালে হারাই।
বড় বোনের কাছে পড়াশোনা করে আমি SSC পাশ করেছি। ফেসবুকে(Scroll)স্ক্রল করছিলাম ।
দেখলাম যে অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং জব করা যায়। তো আমি চিন্তা করলাম বসে থেকে লাভ কী, আমি একটা কিছু করি। তাহলে আমি আমার ফ্যামিলিকে কিছু দিতে পারবো। নিজের খরচটা নিজে চালাতে পারবো।
আমি জুবায়ের রশীদ ঢাকা পলিটেকনিকে ইন্সটিটিউটে পড়াশোনা করছি আর পাশাপাশি ফুড ডেলিভারি করছি।
সকালে ঘুম থেকে উঠি। আমার বোনের একটি মেয়ে আছে চার বছরের ও আমার সাথে থাকে।
আমার আপু স্কুলে যায়। দুলাভাইও স্কুলে যায়। দুজনেই স্কুলের শিক্ষক। ওকে খাওয়া দাওয়া করাই। আমিও খাওয়া দাওয়া করি। নাস্তা করি ।
তারপর ওকে আমি পাশের বাসায় দিয়ে তারপর আমি আমার কাজে চলে আসি।
প্রথমত আমার ফোনের ইন্টারনেট কানেকশন থাকা লাগবে। ইন্টারনেটের একটা খরচ আছে। আর কাস্টমারকে কল দিতে হয় ওই একটা খরচ আছে এগুলো সম্পূর্ণ আমার নিজের।
সবাই মনে করে যে ফুড ডেলিভারিটা অনেক সহজ, সাইকেল দিয়ে দিয়ে আসে।কিন্তু যারা করে তারাই বুঝে। সবাই তো আসলে এক না।
কিছু কিছু রেস্টুরেন্ট আছে খুব ভালো ব্যবহার করে, কিছু কিছু রেস্টুরেন্ট আছে যারা ভিতরে ঢুকতে দেয় না।
কিছু কিছু রেস্টুরেন্ট আছে ফুড হতে অনেক সময় লাগে।
হ্যাঁ, তো কাস্টমার আমাদেরকে প্যারাটা দেয়। অনেক বাসায় লিফট থাকে, অনেক বাসায় থাকে না। ম্যাক্সিমাম টাইমে প্রত্যেক দিন মনে করেন ৫০ তালা বা ৬০ তালা উঠাই লাগে।
অনেকে নীচে নামে অনেকে বলে না আমি টাকা দিয়ে খাবার নিচ্ছি আমি কেন নীচে নামবো। তোমার উপরে এসে দিয়ে যেতে হবে।
দিয়ে গেলে দাও আর না দিয়ে গেলে চলে যাও। পার্কিং-থাকা সত্যেও তারা আমাদেরকে পার্কিং করতে দেয় না।
বলে যে এখানে রাখা যাবে না বাইরে গিয়ে রাখো। চার বছরে আমার তিনটা সাইকেল হারিয়েছে অলরেডি। ঠিক আছে! কারণ রিক্সিভাবে সাইকেল রাখা রেস্টুরেন্টের সামনে। সাইকেল এমন আছে যে সাইকেল তালা মেরে রেখেছি, তারপর সাইকেল উঠিয়ে নিয়ে চলে গেছে।
আমার নিজের পকেটের টাকা দিয়ে খাবারটা কিনতে হয়, কিনার পর কাস্টমার , কিছু ক্ষেত্রে ডিজিটাল পেমেন্ট করে । ডিজিটাল পেমেন্ট করলে আমার ওয়ালেটে টাকাটা আসে।
তখন আমি টাকাটা তুলতে পারি যেকোনো মোবাইল ব্যাঙ্কিং-এর মাধ্যমে, আর নয়ত কাস্টমার ক্যাশ অন ডেলিভারি দিয়ে দেয় । আবার যেটা কোম্পানি পায়, কোম্পানিটা কোম্পানিকে পরিশোধ করে দিতে হয়।
হাতের পাঁচ আঙুল যেমন এক না সবাই কিন্তু এক না । এমনও দিন গেছে আমি অনেক ভালো অঙ্কের টিপস পেয়েছি (পাইছি)। আবার এমনও দিন গেছে যে আমার যে খাবারটা আছে, ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে।
আমি তখন নতুন জয়েন করেছি। আমার অভিজ্ঞতা খুব কম। সাইত্রিশশ টাকার একটা নতুন অর্ডার আসে। আমি আমার টাকা দিয়ে প্রোডাক্ট কিনছি । কেনার পরে আমাকে এক লোক কল দিয়ে বলল। আমার ছোট ভাই আসবে, ছোট ভাই এসে (আইসা) খাবারটা নিয়ে যাবে।
উনি বাইক নিয়ে আসলো। বলল আমি অনলাইনে পেমেন্ট করব। আমি খাবারটা দিলাম, উনার বাইকে আমি দিলাম। উনি বাইক নিয়ে চলে গেলেন। পরে অনলাইন পেমেন্ট করেনি।
আমি বেইলীরোড থেকে সেগুনবাগিচায় একটি অর্ডার ডেলিভারি করেছি। আমি ওনার বাসায় উঠেছি। উনি আমাকে টাকা দিয়েছেন। টাকা দেওয়ার পর বলেছেন ভিতরে আসো একটু পানি টানি খাও।
ভিতরে গেলাম, উনি আমাকে পানি দিল কোক দিলো। তারপরে আমি যে জিনিসটা নিয়ে গেছি ওটা দিল আমার সাথে ছবি তুললো ।
তারপরে উনি আমাকে ফেরার সময় ২০০০ টাকা দিলো। সেটা হচ্ছে আমার লাইফের সেরা ঘটনা। আমি মানে কখনও কল্পনাও করিনি যখন লিফট দিয়ে বের হয়ে গেছি তখন আমার চোখ দিয়ে পানি বের হয়ে গেছে যে মানুষ এতটাও ভাল হয়।
কাস্টমারও অনেক সময় কল ধরে না। অর্ডার দেওয়ার পর কল ধরে না। যেহেতু আমি টাকা দিয়ে খাবারটা কিনছি আমার যদি ফোন না ধরে তাহলে কিন্তু সমস্যা ।
আমি কিন্তু বুঝতে পারব না যে উনি খাবারটা নিবে কি নিবে না। বা উনি কোথায় আছেন। অনেক সময় উনি অর্ডার করেন এক জায়গা থেকে, নিচ্ছেন অন্য জায়গা থেকে।
আমার সামনে বাসা, আমার সামনে রেস্টুরেন্ট, অনেক ঘুরেছি, এক ঘণ্টা ধরে, কাস্টমারের বাসা খুঁজে পাচ্ছি না, কেক থেকে শুরু করে অনেক বড় বড় বিরিয়ানি যত ধরণের খাবার আছে, মোটামুটি অলাইনে অর্ডার দেয়, কফিও আছে, ঠিক আছে, কফিটা বহন করতে খুবি সাবধানে করতে হয়, একটা নষ্ট হলে টাকাটা আমাকে দিতে হয় ।
আর আমি একটা অর্ডার ডেলিভারি করলে চল্লিশ টাকা বা পঞ্চাশ টাকা বা ষাট টাকা পাই। এখন আমি যদি দুইশ টাকা বা তিনশ টাকা জরিমানাই দেই, তাহলে আমার দিনশেষে কিছুই থাকে না
কিছু কিছু রেস্টুরেন্ট ভালো খাবার দেয় । কিছু কিছুরেস্টুরেন্ট খারাপ খাবার দেয়। তার কারণে মনে করেন যে যত দোষ আমাদের ওপর এসে পড়ে। যত যারই দোষ হোক, দোষটা পড়ে আমাদের উপর।
অনেকেই বলে যে ভাইয়া আপনি কষ্ট করলেন। আবার আনেকেই খাবারটা নিলো, দরজাটা লাগিয়ে দিল।
একটা রেস্টুরেন্টে গেলে আপনি হচ্ছে খেয়ে পঞ্চাশ টাকা বা একশ টাকা দিয়ে দিলেন। কিন্তু আমাদেরকে কিন্তু তেমনভাবদেওয়াহয় না।
পনের থেকে ষোল হাজার টাকা ইনকাম করতে পারি। কিছু টাকা বাড়িতে দেই কিছু টাকা নিজের জন্য সেভ করছি। বাড়িতে মা আছে, আর একটা ছোট ভাই আছে। তো ওদেরকে মাঝে মাঝে ফোন দেই, আবার মাঝে মাঝে রাস্তার সাইডে বসি। চা টা খাই।
কেউ আমাকে ছোট বললেই কি আমি ছোট হয়ে গেলাম? আমি আমার দিক থেকে বড়, আমি আমার দিক থেকে রাজা।
আমার কথা হল টাকা দেন, না দেন আমাদেরকে একটু সম্মান করুন। আমরা হচ্ছে যে সম্মানের সহিত (সাথে) বাঁচতে চাই। সম্মানের সাথে থাকতে চাই।